উচ্চতা বৃদ্ধি একটি স্বপ্নের মতো হয়ে থাকে। প্রাকৃতিক ভাবে মানুষের উচ্চতা বৃদ্ধি বা লম্বা কতটুক হবেন তা ৮০% নির্ভর করে আপনার বংসের উপর।আপনার বংসের জেনেটিক হরমোন বৃদ্ধি কেমন হয় তার উপর নির্ভর করে আপনার উচ্চতা হয়ে থাকে। এর পর বাকি ২০% অন্যান্য কৈাশল বা পরিবেশের উপর নির্ভর করে। গ্রোথ্র হরমোন হলো উচ্চতা বৃদ্ধির মুল উপাদান
এই পোষ্টে আপনি জানতে পারবেন কি ভাবে প্রাকৃতিকভাবে মানুষের উচ্চতা বৃদ্ধি করে। আপনাকে বেশ ধৈর্যের সাথে আপনাকে অনেক দিন এই সব নিয়ম মেনে চলতে হবে। তাহলেই আপনি ভালো ফল পাবেন।
আপনার শরীরের উচ্চতা বাড়াতে ব্যায়াম বা খাবার প্রয়োজন হয়। সেগুলো নিচে উলেখ করা হলঃ
১.ব্যায়াম: নিয়মিত খেলাধুলা বা ব্যায়াম করার অভাস করতে হবে। কিছু কিছু ব্যায়াম রয়েছে যা প্রতিনিয়ত করলে হরমোন বাড়ে। ব্যায়াম নিয়মিত করলে মানুষের শরীরের বিভিন্ন জোড়া গুলোতে অনেক ভালো প্রভাব পড়ে। ফলে যা দুরুত্ব লম্বা হতে সাহায্য করে।
প্রথমে শরীরকে আস্তে আস্তেদৈাড় এর মাধ্যমে ব্যায়াম করা উপযুক্ত করে নিতে হবে। সপ্তাহে ৪ থেকে ৫ প্রতিনিয়ত ব্যায়াম করতে হবে যা মানুষের উচ্চতা বাড়ায়। মানুষের উচ্চতা দুরুত্ব বাড়ানোর উপকারি ব্যায়াম হলো ঝুলন্ত ব্যায়াম যা মানুষের শরীরের উর্ধাঙ্গের পেশি গুলোকে প্রশারিত করতে অনেক সাহয্য করে। অনেক উপায় এই ব্যায়াম করা যায়।
২.ঘুম: মানুষের উচ্চতা বৃদ্ধির সব থেকে ভালো উপায় হলো ঘুম। ঘুম মানুষের মানসিক ও শারীরিক শান্তি এবং দেহের গঠনের টিসু গুলো ভালোভাবে কাজ করতে পারে। প্রতিদিন ৮ থেকে ১১ ঘন্টা ঘুম ও বিশ্রাম নেওয়ার মাধ্যমে আমাদের দেহের শরীর গঠনোর হরমোন প্রাকৃতিক উপায় উৎপন্ন হয়। ফলে মানুষের উচ্চতা বৃদ্ধি পায়। মনে রাখতে হবে বেশি ঘুমা যাবে না।
৩.সাঁতার: মানুষের উচ্চতা বৃদ্ধির আরেক টি উপায় হল সাঁতার। পানি মানুষের শরীরের অপরিহায্য উপাদান। মানুষের শরীর সঠিক ভাবে কাজ করাতে হলে আমাদের পরিমান মতো পানি পান করতে হবে। পানিতে সাতার কাটলে আপনার শরীরের ফ্লেক্সিবল হবে এবং পেশী গুলো ভালো ভাবো প্রসারিত হবে। তাই পানিতে প্রায় সাঁতার কাটতে হবে।
৪.খাবার: মানুষের শরীরের বা মানুষের উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য সঠিক খাবার কার্যকারি ভুমিকা পালন করে। আপনি কি খাবার খেলে নিজেকে স্বাস্থ্যকর রাখবেন, নিচে তার তালিকা তুলে ধরা হল:
উচ্চতা বৃদ্ধি এর উপায়
- দুধ: উচ্চতা বৃদ্ধির প্রাকৃতিক উপাদান গুলোর মধ্যে একটি হল ক্যালসিয়াম যা দুধ এর মধ্যে প্রচুর পরিমানে রয়েছে।
- ডিম: উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য ক্যালসিয়াম,রিবোফ্ল্যোবিন এবং ভিটামিন ডি শরীরের হাড় উন্নয়ন ও শক্তিশালি করে, যা ডিম এর মধ্যে প্রচুর পরিমানে রয়েছে।
- ফল: ভিটামিন, পটাশিয়াম,ফোলেটা এবং আঁশ এগুলো স্বাভাবিক ভাবে উচ্চতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে,
- বাদাম: দেহের টিস্যু এবং নতুন হাড় ও মাংসপেশি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে , খনিজ ভিটামিন যা বাদাম এর মধ্যে প্রচুর পরিমানে থাকে।ৎ
- শালগম: দেহের ভিটামিন খনিজ পুষ্টি ও খাদ্য আঁশ আমাদের দেহের বৃদ্ধি বা লম্বা বাড়ানোর জন্য দায়ি হরমোন নিয়ন্ত্রন করে । শালগমে এই হরমোন গুলো প্রচুর পরিমানে রয়েছে।
- শীম: ভিটামিন বা প্রাটিন এই ভিটামিন গুলো আপনার উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য প্রধান ভুমিকা রাখে।শীমে থাকা প্রচুর পরিমান ভিটামিন ও প্রোটিন আপনার টিসু ও মাংসপেশী গঠনে কাজ করে।
- গাজর: হাড়ে ক্যালসিয়াম বৃদ্ধির জন্য ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ গাজর এই সব উপাদান য়োগায়। তাই প্রতি দিন ২ থেকে ৩ টি গাজর খেলে উচ্চতা বাড়ে।
- ডাল বা মটরশুটি: অনেক ভিটামিন এবং খনিজ পুষ্টিতে সমৃদ্ধ ডাল ও মটরশুটি যা উচ্চতা বাড়াতে প্রচুর ভুমিকা রাখে।
- ব্রোকলি: ব্রোকলিতে উচ্চমাত্রায় ভিটামিন সি আঁশ ও আয়রন যা মানুষের দেহের উচ্চতা বৃদ্ধি কার্যক্রম ঠিক রাখে।
- সয়াবিন: সয়াবিন এর প্রেটিন আছে তা মানুষের উচ্চতা বৃদ্ধির হাড় ও টিসুর ঘনত্ব বাড়ায় । সয়াবিন প্রতিদিন নিয়ম মেনে খেলে আপনার স্বাস্থ্য এর উন্নয়ন হবে।
- কালো তিল: হাড়ের স্বাস্থ্যের ঘনত্ব বাড়াতে কার্যকর ভুমিকা রাখে। কালোতিলে প্রচুর অ্যান্টি অস্কিডেন্ট ও আয়রন এবং ভিটামিন বি- যা স্বাস্থের জন্য খুবই উপকারি।
- কাজুবাদাম: হাড় বৃদ্ধিতে খনিজ উপাদান হিসেবে কাজ করে কাজুবাদাম। কাজুবাদামে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম ও পটাশিয়াম এবং প্রচুর পরিমানে ক্যালসিয়াম যা মানুষের উচ্চতা বৃদ্ধিতে কাজ করে।
বিজ্ঞানে বলা হয়ে ১৮ বছরের বেশি হয়ে গেলে উচ্চতা বৃদ্ধি পায় না। কিন্তু মানেুষের শরিরের জীবনভর উচ্চতা বাড়ানোর টিসু গুলো নিঃসরন করতে থাকে। হরমোন মানুচ্চতা বাড়াতে ভুমিকা পালন করে থাকে।
একটি মানুষ যদি নিয়মিত ভিটামিন খাবার গ্রহন করে এবং সক্রিয় জীবন যাপন করতে পারে , তাহলে উচ্চতা বাড়ানো সম্ভব।