ওয়ার্ডপ্রেস নামের সাথে প্রায় সবাই আমরা পরিচিত। এখন কোডিং ছাড়াই ওয়ার্ডপ্রেস ডিজাইন করা যায়, এর জন্যই ওয়ার্ডপ্রেস অনেক জনপ্রিয়। এমন একটা সময় ছিল কোন ডিজাইন করার কথা ভাবলে মাথায় কোডিং ঘুরত। এখন বিশাল বিশাল জনপ্রিয় ওয়েবসাইট কোডিং ছাড়াই তৈরি করা যায়।
ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটকে নিজের ইচ্ছে মতো বা ক্লাইন্টের মতো ডিজাইন করা যায়। তাই অলনাইনে ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেস গুলোতে ওরেয় ডিজাইনারদের অনেক চাহিদা। যদি আপনি ওয়েবডিজাইন শিখে এক্সপার্ট হন অলনাইন মাকেটপ্লেস গুলোতে ক্লাইন্টের ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন। আর প্রতেক ওয়েবসাইট ডিজাইন করতে ১০০ থেকে ১০০০ ডলার অলনাইন ইনকাম করতে পারেন। তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে শুরু করি কিভাবে ওয়েবসাইট ডিজাইন শিখবেন।
কিভাবে ওয়ার্ডপ্রেস ডিজাইন শিখবেন
বর্তমান সময় আপনার ক্যারিয়ার হিসেবে কোন কিছু করার পাশাপাশি ফ্রীল্যান্সার হিসেবে নিজেকে তৈরি করতে পারেন। আর ওয়ার্ডপ্রেস শিখে আনি বাড়িতে বসে টাকা উর্পাজন করতে পারেন। ওয়ার্ডপ্রেস শিখতে হলে আপনার প্রচুর পরিমানে মনবল থাকতে হবে , যা আপনাকে শেখাতে সাহয্য করবে।
wordpress শিখতে কি কি লাগে
ওয়ার্ডপ্রেস ডিজােইন শিখতে হলে আপনার সর্বপ্রথম প্রয়োজন একটি কম্পিউটার বা লেপটপ । এবং যেখানে বসে WordPress ডিজাইন শিখবেন সেখানে লাগবে ইন্টারনেট কানেশন। এগুলো্ না হলে আপনি শিখতে পারবেন না। ও কিছু পরিমান টাকা যা আপনার ডোমাইন এবং হোস্টিং কিনতে হবে।
আপনি ওয়ার্ডপ্রেস ডিজাইন কথায় শিখতে পারেনি
ওয়েবসাইট শিখতে হলে আপনাকে অব্যশই অলনাইন লাইভ র্কোস করতে পারেন বা সরাসরি ট্রেনিং সেন্টারে গিয়ে শিখতে পারেন। শেখা শুরু করার আগে আপনাকে অব্যশই বিবেচনা করতে হবে। যে কোন ট্রেনিং সেন্টার ভালো ভাবে ওয়েবসাইট ডিজাইন শিখায়। এবং ইউটুবের ভিডিও দেখে আপনি ওয়েবসাইট ডিজাইন শিখতে পারেন।
আপনার যে বিষয় গুলো জানার প্রয়োজন
ওয়ার্ডপ্রেস ওযেবসাইট ডিজাইন শিখতে হলে আপনাকে সর্বপ্রথম জানতে হবে ওয়ার্ডপ্রেস কি এবং কি ভাবে কাজ করে। কেন এত জনপ্রিয়
wordpress কাকে বলে
ওয়ার্ডপ্রেস হলো বর্তমান ইন্টারনেট বিশ্বে সর্বাধিক জনপ্রিয় ব্লগ পাবলিশিং অ্যাপলিকেশন আরো সহজ করে বলতে গেলে, শক্তিশালি কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (CMS) যা PHP ও MySQL দিয়ে তৈরি ওপেন র্সোস ব্লগিং সফটওয়্যার। যে কোন কন্টেন্ট ম্যানেজ করতে সহজ হয়। ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট এবং ব্লগ তৈরির সবচেয়ে ও বহুল ব্যবহার একটি জনপ্রিয় মাধ্যম।
WORDPRESS এত বেশি জনপ্রিয় কেন?
ওযার্ডপ্রেস হলো ইন্টারনেট বিশ্বে জনপ্রিয় কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (CMS)। নিজের ইচ্ছে মতো যেকোন সার্ভারে ইন্সটল করা যায় এরং মনের মতো ডিজাইন করা যায়। এখানে কোন কোডিং করার প্রয়োজন পরে না , ওয়ার্ডপ্রেস এ আছে কয়েক হাজার প্রি থিম ,প্লাগিন এবং টেমপ্লেট যা নিজের সুবিধা মতো কাস্টমাইজ করা যায়। ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করা অন্যান্য কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (CMS) এর চেয়ে অনেক সহজ।
ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট বানাতে কি কি লাগে
ওয়েবসাইট বানাতে আপনাদের কয়েকটি জিনিস এর প্রয়োজন পরবে তার মধো হলো:
- ডোমেইন
- হোস্টিং
- থিম এবং
- প্লাগিন
ডোমেইন কি এবং কি ভাবে কেনা যায়?
ডোমেইন হলো একটি ওয়েবসাইটের নাম বা অ্যাড্রেস হিসেবে ব্যবহার করা হয়। নির্দিষ্ট নাম বা অ্যাড্রেস দিয়ে য়ে আপনার ওয়েবসাইট খুজে বেড় করতে পারে তার জন্য ডোমেইন নেম ব্যবহার করা হয়। ডোমাইন কেনার জন্য আপনার ভালোর জন্য আপনাকে প্রথমেই কি বিষয় ওয়েবসাইট তৈরি করতে চান তা বিবেচনা করতে হবে। তারপর ওয়েবসাইট অনুযায়ি ডোমেইন চয়ন করতে হবে ।
ডোমেইন কেনার জন্য আপনাকে ভালো মানের ডোমেন নিবন্ধক চয়েস করতে হবে। যেমন Namecheap, Hostinger, যেন সবসময় সাপোর্ট পাওয়া যায়। ডোমাইন নিবন্ধক সিলেক্ট করার পর তাদের ওয়েবসাইট র্নিদেশনা অনুযায়ি ডোমেইন কিনতে হবে।
হোস্টিং কি এবং কি ভাবে কেনা যায়?
হোস্টিং হলো স্টোরেজ এখানে যে কোন ফাইল রেখে দিলে বিশ্বের যে কোন জায়গা থেকে অ্যাক্সেস করা যায়। ওয়েবসাইটের তথ্য ও উপাত্ত বা ইন্টারনেটের যত কিছু ফাইল আমরা ওয়েবসাইটে দেখতে পাই তা সবকিছু হোস্টিং এ রাখা যায়। হোস্টিং কোম্পানি গুলো হোস্টিং সার্ভারকে দ্রুত গতির ইন্টারনেট সংযোগ এবং সার্ভারকে সবসময় রাখতে অনেক মানুষ প্রতিনিয়ত কাজ করে থাকে।
হোস্টিং কেনার জন্য আপনাকে সর্বপ্রথম বুঝতে হবে আপনি কোন নেবেলের ওয়েবডিজাইনার। আপনি যদি বিগেনার নেবেলের হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার জন্য ভালো হবে শেয়ার হোস্টিং ক্রয় করা। আপনাকে ভালো মানের হোস্টিং প্রভাইডার খুজতে হবে, যেমন Namecheap, Hostinger, যেন ভালো মানের সাপোর্ট দিতে পারে। হোস্টিং প্রভাইডার সিলেক্ট করে। তাদের ওয়েবসােইট র্নিদেশনা অনুযায়ি হোস্টিং কিনতে হবে।
থিম কি
ওয়েবসাইট ডিজাইনেই হচ্ছে wordpress website এর মুল আকর্ষণ। আর থিমের উপর নির্ভর করে ওয়েবসাইট ডিজাইন কেমন হবে। ওয়ার্ডপ্রেস এর থিম ডিরেক্টরিতে অসংখ্য থিম রয়েছে যা ফ্রী ব্যবহার করা যায়। এবং পেউড থিম ও রয়েছে যা ওয়েবসাইটকে আরও উন্নত করে ডিজাইন করা যায়।
প্লাগিন কি
প্লাগিন হলো আপনার website কে আরো বেশি উ্ন্নত করতে ব্যবহার হয়। মোবাইলে যেমন অ্যাপ ফোনকে উন্নত বা নতুন ফিচার প্রদান করে ঠিক তেমনি wordpress website কে প্লাগিন দিয়ে ভিন্ন ভিন্ন ফিচার সংযোগ করা যায়। ওয়ার্ডপ্রেস ডিরেক্টরিতে অসংখ্য ফ্রী প্লাগিন রয়েছে এবং পেইড প্লাগিন ও রয়েছে। প্লাগিন ওয়েবসাইটকে নতুন এক ভিন্ন রূপ দেয়।
আজ এই পর্যন্ত শেষ করতেছি ,আবার কথা হবে আগামি কোন পোস্টে। নতুন নতুন পোস্টের আপডেট পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন Cyberclub24.com