মোবাইল ফোন কিভাবে কাজ করে
ডিজিটাল যুগে আমাদের মোবাইল ফোন কাজে লাগে নিত্য নতুন প্রয়োজনে। তাই এই পোষ্টে আমরা জানবো মোবাইল কিভাবে কাজ করে এবং মোবাইল ফোন কিভাবে বানানো হয়। আরো অনেক কিছু জানতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন Cyberclub24.com
ধরা যাক আপনি ফোন করবেন আপনার বাবাকে, আপনি যখন আপনার বাবার নাম্বারে কল করবেন। তার পর আপনার বাবার মোবাইল ফোনের ইলেকট্রোমাগনেটিক ওয়েব জয়ার হোম এমএসসি চলে যাবে। তারপর সেখান থেকে সিগন্যাল চলে যাবে আপনার বাবার হোম এমএসসিতে চলে যাবে। তখন আপনার বাবার সাথে ফোন কলের মাধ্যমে সরাসরি কথা বলতে পারবেন
আপনি যার মোবাইলে ফোনে কল করবেন, তার সাথে কথা বলার জন্য আপনার কথা গুলো আপনার ফোনের মাইক্রোফোনে প্রবেশ করাতে হবে। সেই কথা গুলোকে ডিজিটাল সিগন্যালে রূপান্তর করে, এটি করা হয় মেমস সেন্সর বা মোবাইল ফোনের আইসির মাধ্যমে
আবার সেই সিগন্যাল গুলোকে জিরো এবং ওয়ান এ রূপান্তর করা হয়। তারপর জিরো এবং ওয়ান গুলো চলে যায় মোবাইল ফোনের অ্যান্টেনায়। সেই জিরো এবং ওয়ান গুলোকে ইরেকট্রোম্যাগনেটিক ওয়েব একএকটি অক্ষরে রূপান্তর করে দেয়। সেই অক্ষর গুলোকে হ্যালো বা হাই কনর্ভ্রাট করে ওপর প্রান্তে পৌঁচায় দেয়।
ফোন কি ভাবে তৈরি করা হয়
আপনি কি একটি বাড়ের জন্য ভেবেছেন আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনটি কি ভাবে তৈরি করা হয়েছে, এবং তৈরি করতে কি কি প্রয়োজন হয়েছে। যদি আপনি ভেবে থাকেন তাহলে আজকের পোষ্টি শুধু আপনা জন্য।
ডিজিটাল যুগে প্রযুক্তির মাধ্যমে এখন স্মার্টফোন সবার হাতে হাতে, মোবাইল ফোনের ভিতর প্রসেসর, ক্যামেরা, ডিসপ্লে চার্জার আরো অনেক প্রযুক্তি। একের পর এক প্রযুক্তির চমক দেখাচ্ছে স্মার্টফোন কোম্পানি গুলো। কথা না বাড়িয়ে স্মার্টফোন প্রতিষ্ঠান গুলো কিভাবে তৈরি করে এবার জেনে আসি।
স্মার্টফোন তৈরিতে ৩টি ধাপ অনুসরন করে কাজ সম্পর্ন করা হয়। প্রথম ধাপ হলো পিসিবি বোর্ড তৈরি করা, কম্পোনেট লাগানো এবং সফটওয়ার ইন্সট্রোলেশন। ফোন তৈরি করার আগে পিসিবি বোর্ডে কোন প্রকার ময়লা যেন না থাকে তার জন্য ভালোভাবে পরিষ্কার করা হয়। পরে পিসিবি বোর্ডের সার্কিট লেআউট প্রিন্ট করার সেকশনে পাঠানো হয়। সবকিছু ভালো মতো হয়ে গেলে ,পাঠানো হয় কাটিং মেশিনে স্মার্টফোনের সাইজ অনুযায়ি পিসিবি বোর্ডকে কাটানো হয়। এই সব কাজ শেষ হলে পিসিবি বোর্ডকে চেক করার সেকশনে নিয়ে যায়
পিসিবি বোর্ড চেক করার পর সিপিইউ, ডায়োড, সার্কিট লেআউট এবং হার্ডওয়ারের বিভিন্ন কম্পোনেট লাগার সেকশনে। কম্পোনেন্ট গুলো ঠিক মতো লাগা হয়ে গেলে আবার নিয়ে যাওয়া হয় চেক সেকশনে। আর এখানেই ফাইনাল ইন্সপেশনে দেখা হয় মতো আছে কিনা, সবকিছু ঠিক মতো থাকলে তখনেই নিয়ে যাওয়া হয় সোল্ডারিং সেকশনে।
সোল্ডাডিং প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গেলে তারপর কম্পিউটারের মাধ্যমে ফাইনলি চেক করা হয় সার্কিটের সিরিয়াল নাম্বার সব কিছু ওকে আছে কিনা। এই গুলো প্রক্রিয়া শেষ করতে সময় লাগে প্রায় ৪০ মিনিট। এরপর মোবাইফোন গুলোকে নিয়ে যাওয়া হয় সফটওয়ার ইন্সট্রোলেশন সেকশনে। এখানে স্মার্টফোনের সব ফিচার ধাপে ধাপে ইন্সট্রোল করা ঞয় যেমন: ওয়াইফাই, ব্ললোটুথ এর মতো অনেক ফিচার। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে তারপর নিয়ে যাওয়া হয় ২য ধাপে
২য় ধাপে এসে মোবাইল ফোনের মডিউল সংযো করা হয়। চাজিং পোর্ট ক্যামেরা, পাওয়ারবাটন, এসডি কার্ড স্লট, সিম স্লট ব্যাটারি ব্যাক কেজ ইত্যাদি এগুলো ভিন্নভিন্ন জায়বসানো হয়। এইসব লাগালো শেষ হয়ে গেলে ইস্কু দিয়ে ফোন টি লাগিয়ে দেওয়া হয়। এই সব কাজ ঠিক মতো সম্পূণ্য হওযার পর মোবাইল ফোনটি দেখার জন্য ফোনটি অন করা হয়। এরপর নিয়ে যাওয়া হয় ৩য় ধাপে
৩য় ধাপে আসার পর আবার বিভিন্ন রকম টেষ্ট করানো হয়। প্রথম প্রযায়ে আছে ড্রপ টেষ্ট কিছু নির্দিষ্ট একটা দুরুত্ব থেকে উপর থেকে নিচের দিকে ফেলে দেওয়া হয়। ইউএসবি পোর্ট টেষ্ট যেটা করা হয় মোবাইল ফোন চার্জিং এবং ক্যাবল প্রয়োগ করা হয়। প্রেসার দেওয়া হয় উপর থেকে নিচে দিক থেকে ৩ কেজি পরিমান এর ,প্রেসার দেওয়া কারণ হলো মোবাইল ফোন টি মজবুত আছে কিনা।
তারপর টেষ্ট করা হয় পাওযার বাটনের, পাওয়ার বাটনকে অটোমটিক মেশিনের সাহায্য অনবরত পাওযার বাটন চাপা হয় প্রায় ১ লক্ষ বার । এবার ইউএসবি পোর্ট প্রায় ১০ হাজার বার ইউএসবি পোর্টকে লাগানো এবং খোলানো করা হয়। ফোনের ব্যাক কভার টেষ্ট করার জন্য প্রায় ১১০০ থেকে ১২০০ বার অটোমেটিক মেসিন দারা কভারের উপর ঘসা দেওয়া হয়। আবার মোবাইল ফোনকে বিভিন্ন তাপমাত্রায় রাখা হয়,পরিক্ষা করার জন্য
সমস্ত পরিক্ষায় ঠিকঠাক মতো পাস করলে, মোবাইল ফোন গুলো কে বাজারে বিক্রির জন্য ছাড়া হয়। সেই মোবাইল ফোন গুলো চলে যায় আপনার হাতে।