ডিজিটাল মার্কেটিং কি(What is Digital Marketing?)
বর্তমান সময়ে ব্যবসায়িদের বা নতুন উদ্যোক্তাদের ব্যবসা প্রসারের জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং জনপ্রিয় বিষয়। Digital Marketing হল ইলেকট্রনিক মিডিয়াকে ব্যবহার করে, যে কোন ব্যবসার অলনাইনে প্রচারণা করার জন্য যে মেথড ব্যবহার করা হয় তাকে ডিজিটাল মার্কেটিং বলে। এতো প্রয়োজনীয়তা ও চাহিদা দুটোরি বৃদ্ধি পেয়েছে। ডিজিটাল যুগে এসে প্রতিটি ব্যবসার উন্নতির জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং অতি গুরুত্বপূণ্য ভুমিকা পালন করে।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রয়োজনীয়তা(Essentials of Digital Marketing)
প্রতোক ব্যবসা বা নিজের জনপ্রিয়তা বাড়াতে এই বাজারে ডিজিটাল মার্কেটিং করা আবশ্যক। বর্তমান বিশ্বে ৬৬% মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে এবং বেশিরভাগ সময়ই অলনাইনে ব্যয় করে। ডিজিটাল মার্কেটিং ব্যবহারের ফলে মার্কেটাররা নির্দিষ্ট গ্রাহকদের লক্ষ্য করে বিজ্ঞাপন প্রচার করে এটি ব্যবসার পাশাপাশি বিজ্ঞাপনের জন্য খরচ কমাতে সাহায্য করে।
ডিজিটাল মার্কেটিং কেন করব? (Why do digital marketing?)
দিন দিন বদলে যাচ্ছে বিশ্ব,বদলে যাচ্ছে প্রচার এবং প্রচারোণার পদ্ধতি। প্রতিষ্ঠান বা পণ্য এই দুটো কেই প্রচারের জন্য মার্কেটিং করতে হয়। যে সকল মানুষ শুধু একটি নির্দিষ্ট পন্য চায় তাদের কাছে প্রচলিত মার্কেটিং দিয়ে পন্য পৌচানো সম্ভব নয়। প্রচলিত পদ্ধতিতে কোন পন্যের মার্কেটিং করতে হলে, আগে আমাদের ব্যবহার করতে হত প্রিন্ট, বেনার, টিভিতে এড, ফোন কমুউনিকেশন। এই সব করেও সহজে মানুষের নিকট মার্কেটিং করা যেত না বরং অনেক ব্যয় বহুল।
নির্দিষ্ট পন্য নির্দিষ্ট মানুষের কাছে পৌচানোর জন্য আমাদের ডিজিটাল মার্কেটিং এর দারা মার্কেটিং করতে হয়। ডিজিটাল মিডিয়া ব্যবহারের মাধ্যমে প্রতি অডিয়েন্সের ইন্টারেস্ট অনুযায়ী এড দেখানো যায়। যেটা সাধারণ মার্কেটিং দারা অসম্ভব।
আপনি যদি ভালো কোন এজেন্সির দারা মার্কেটিং করাতে পারেন তাহলে আপনার প্রতিটি এড টার্গেড অডিয়েন্সের কাছে গিয়ে পৌছাবে যাদের ওই পণ্যের প্রতি আগ্রহ আছে। ডিজিটাল মার্কেটিং দিয়ে এডভেরাইস করালে ব্যয় ও কম হয়।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রকারভেদ(Types of Digital Marketing)
ডিজিটাল মার্কেটিং(Digital Marketing) কে সাধারণত দুই ভাগে ভাগ করা যায় প্রথমত অফলাইন মার্কেটিং এবং দ্বিতীয় অলনাইন মার্কেটিং
অফলাইন মার্কেটিং(Offline Marketing)
- Enhanced (TV ADD)
- টেলিভিশন মার্কেটিং (Television Marketing)
- ফোন মার্কেটিং (Phone marketing)
- রেডিও মার্কেটিং (Radio Marketing)
উপরের উল্লেখিত Digital Marketing এর অফলাইন মার্কেটিং বিষয় সম্পর্কে থারণা দেওয়ার চেষ্ঠা করব
Enhanced (LED TV ADD)
Enhanced অফলাইন মার্কেটিং মুলত সবচেয়ে ব্যয় বহূল মার্কেটিং এর মধ্যে একটি। যেকোন সমৃদ্ধ স্থানে Enhanced (LED TV ADD) বসানো যায়। যেমন ট্রাফিক জ্যাম, খেলার এসট্রিডিয়াম আরো বিভিন্ন জায়গায়। Enhanced (LED TV ADD) এই সব জায়গায় এডভার্টইজিং করলে অনেক পরিমান একটা অডিয়েন্সের কাছে রিচ রতে পারে খুব সহজে। এই এডভার্টইজিং বেশির ভাগ করে থাকে ইলেকট্যনিক পন্য সেলাররা
Enhanced এড এ সাধারনত আমরা বড় বড় বিল্ডিং এবং রাস্তার বিভিন্ন স্থানে,ট্রাফিক জেমের পাশে বেনার গুলোতে অনেক ধরনের এড দেখা যায়। সেই নিয়মে এডভার্টইজিং এ অনেক ইনস্টারেস্ট অডিয়েন্স পাওয়া যায়। তাছাড়া Enhanced অফলাইন মার্কেটিং অনেক ব্যয় বহুল যা সাধারণ কোম্পানি Enhanced মার্কেটিং করতে পারবে না।
টেলিভিশন মার্কেটিং(Television Marketing)
ডিজিটাল মার্কেটিং সব সেক্টর গুলৈাতে এডভার্টইজিং এর ইনস্টারেস্ট এবং সার্ফিং এর ধরণ অনুযায়ী এড শো করা যায়। সে ক্ষেত্রে টার্গেটিং অডিয়েন্স রিচের ব্যপারে টেলিভিশন অনেকটাই পিছিয়ে। এটা অস্বীকার করা যায় না। কারণ টেলিভিশন এ এড শো করানোর উদ্দ্যেশ হলো সবাইকে টার্গেট করা। সব অডিয়েন্স একটি পণ্যের উপর রুচি শীলণ হয় না, টেলিভিশনে এড শো করানো জন্য অনেক ব্যয় বহুল। কিন্তু তাও মাকেৃটিং এর হিউজ পরিমান একটা শেয়ার ধরে রেখেছে টেলিভিশন
টেলিভিশন চ্যানেলগুলি TRP ডেটা ব্যবহার করে তাদের দর্শকদের পছন্দ এবং পরিষেবাগুলি সম্পর্কে বুঝতে এবং তাদের বিজ্ঞাপন মূল্যায়ন করতে। বিজ্ঞাপন কর্মীরা বিভিন্ন সময়ে বা প্রোগ্রামে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করার জন্য বিভিন্ন TRP স্তরের প্রোগ্রামগুলি খুব সহজে বেছে নিতে পারেন, যেন তারা তাদের লক্ষ্য পৌঁছায় এবং বিজ্ঞাপনের ফলাফল উত্তোলন করে নিতে পারেন।
ফোন মার্কেটিং(Phone marketing)
আমরা যারা বাংলাদেশে বসবাস করি তা আমাদের জন্য ফোন মার্কেটিং কি আমরা তা ভালোভাবে বুঝবো। বাংলাদেশের মোবাইল অপারেটর দের অত্যাচারে আমরা অতিষ্ট হয়ে যাই। মার্কেটিং এর জন্য মোবাইল অপারেটররা অডিয়েন্সদের এই প্যাকেজ সেই প্যাকেজ,টিউন,কনর্স্ট এবং প্রোডাক্ট এইসবের মেসেজ পাঠিয়ে অডিয়েন্সের কাছে রিচ করা হয়। তাছাড়া কিছু কিছু সময় দেখা যায় কল করে অনেক কিছু চটকদার কথা শুনায়, একেই বলা হয় ফোন মার্কেটিং।
মোবাইল মার্কেটিং হল একটি অনলাইন মার্কেটিং কৌশল যা তাদের স্মার্টফোন , ট্যাবলেট , ফিচার ফোন , বা ওয়েবসাইট, ই-মেইল, সোশ্যাল মিডিয়া বা মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট শ্রোতাদের কাছে পৌঁছাতে ফোকাস করে । মোবাইল মার্কেটিং গ্রাহকদের সময় এবং অবস্থানের সংবেদনশীল, ব্যক্তিগতকৃত তথ্য সরবরাহ করতে পারে যা পণ্য, পরিষেবা, অ্যাপয়েন্টমেন্ট অনুস্মারক এবং ধারণা প্রচার করে
রেডিও মার্কেটিং(Radio Marketing)
অনেক পুরোনো প্রায় ১০০ বছর হতে চললো রেডিও ইতিহাসের। রেডিও মার্কেটিংকে রেডিও বিজ্ঞাপন বলা যায়। অর্থ প্রদানের জন্য রেডিওতে বিজ্ঞাপনের সর্বাধিক ব্যবহ্যত রুপ। প্রতি সপ্তাহে দুই- তৃতীয়াংশ প্রাপ্ত বয়স্করা বাীণজ্যিক রেডিওতে টিউন ইন করে, উচ্চ মাত্রায় শোনার সাথে রেডিও বিজ্ঞাপন দাতাদের উচ্চ নাগালের জন্য কার্যকর। কিছু শিল্প গবেষনায় দেখায় যে প্রচারাভিযান গুলি গড়ে ৬০% বেশি ব্র্যান্ড গুলিকে পরিচিত করার সম্ভাবনা তৈরি হয় রেডিও মার্কোটং ব্যবহার করে।
রেডিও মার্কেটিং এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান তাদের লক্ষ্য কাস্টমারদের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে চেষ্টা করে এবং তাদের পন্য বা পরিষেবা সম্পর্কে বিজ্ঞাপন করে উপস্থাপন করে। টেলিভিশন এডভারটাইজিং হলো একটি বিপণন প্রক্রিয়া যেখানে একটি প্রতিষ্ঠান বা ব্র্যান্ড তাদের পন্য বা পরিষেবা প্রচারের জন্য রেডিও মাধ্যম ব্যবহার করে।
অলনাইন মার্কেটিং(Online Marketing)
- সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং(Social media marketing)
- পে-পার ক্লিক এডভার্টইজিং(Pay-per-click advertising)
- কন্টেন্ট মার্কেটিং(Content Marketing)
- সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং(Search engine marketing)
- সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন(Search engine optimization)
- এফিলিয়েট মার্কেটিং(Affiliate Marketing)
- ই-মেইল মার্কেটিং(E-mail marketing)
উপরের উল্লেখিত Digital Marketing এর অলনাইন মার্কেটিং বিষয় সম্পর্কে থারণা দেওয়ার চেষ্ঠা করব
সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং(Social media marketing)
ডিজিটাল মার্কেটিং এর সবচেয়ে ভালো দিক হলো সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং। সোশ্যাল মিডিয়াতে বর্তমান মানুষ সবচেয়ে বেশি সময় ব্যয় করে। বর্তমান সেলারদের সবচেয়ে উপযুক্ত জায়গা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া Facebook, WeChat, Twitter, ShareChat, Instagram, Pinterest, QZone, Weibo, VK, Tumblr, Baidu Tieba, Thread and LinkedIn। সোশ্যাল মিডিয়া দিয়ে টার্গেটেড অডিয়েন্সের কাছে কম খরচে পৌছানোর যায়। বর্তমানে নতুন সেলার গুলো তাদের ব্যবসাকে বৃদ্ধি করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়াকে কাজে লাগায়।
সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলিতে সম্ভাব্য ক্লায়েন্টরা কী পণ্য এবং পরিষেবাগুলিতে আগ্রহী হতে পারে সে সম্পর্কেও অনেক তথ্য অন্তর্ভুক্ত করে৷ নতুন শব্দার্থিক বিশ্লেষণ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে , বিপণনকারীরা কেনার সংকেত সনাক্ত করতে পারে, যেমন লোকেদের দ্বারা ভাগ করা সামগ্রী এবং অনলাইনে পোস্ট করা প্রশ্নগুলি। সিগন্যাল কেনার একটি বোঝাপড়া বিক্রয় লোকেদের প্রাসঙ্গিক সম্ভাবনাকে লক্ষ্য করতে এবং বিপণনকারীদের মাইক্রো-টার্গেটেড প্রচারাভিযান চালাতে সহায়তা করতে পারে।
2014 সালে, 80% এরও বেশি ব্যবসায়িক নির্বাহী সোশ্যাল মিডিয়াকে তাদের ব্যবসার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসাবে চিহ্নিত করেছেন। ব্যবসায়িক খুচরা বিক্রেতারা সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং থেকে তাদের আয় 133% বৃদ্ধি পেয়েছে।
পে-পার ক্লিক এডভার্টইজিং(Pay-per-click advertising)
পে-পার ক্লিক হচ্ছে মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে একটি নির্ভরযোগ্য এডভার্টাইজিং। যারা ওয়োবসাইটের ট্রাফিক জেনারেট করতে চায় বিশেষ করে তাদের জন্য উপযুক্ত পদ্ধতি। পে-পার ক্লিক এডভার্টাইজিং হলো একটি ব্যয় বহুল প্রক্রিয়া। প্রতি এড এর জন্য প্রতি ক্লিকে সেই পরিমান টাকা গুনতে হবে। এবং এই পদ্ধতি ব্যবহার করে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন যা ভালো সুবিধা অর্জন করতে পারেন।
পিপিসি বিজ্ঞাপনের সুবিধা
তাৎক্ষণিক ফলাফল:
- দ্রুত দৃশ্যমানতা: সার্চ ইঞ্জিন এবং অন্যান্য প্ল্যাটফর্মগুলিতে অবিলম্বে এক্সপোজার প্রদান করে, পিপিসি প্রচারাভিযানগুলি দ্রুত চালু করা যেতে পারে।
- দ্রুত ট্র্যাফিক: জৈব অনুসন্ধান প্রচেষ্টার বিপরীতে, যা ফল পেতে কয়েক মাস সময় নিতে পারে, PPC প্রায় তাত্ক্ষণিকভাবে একটি ওয়েবসাইটে ট্র্যাফিক চালাতে পারে।
- লক্ষ্যযুক্ত বিজ্ঞাপন:
- শ্রোতা বিভাজন: পিপিসি জনসংখ্যা, অবস্থান, ডিভাইস, দিনের সময় এবং আরও অনেক কিছুর উপর ভিত্তি করে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণের অনুমতি দেয়, বিজ্ঞাপনগুলি সর্বাধিক প্রাসঙ্গিক দর্শকদের কাছে পৌঁছানো নিশ্চিত করে।
- কীওয়ার্ড টার্গেটিং: বিজ্ঞাপনদাতারা তাদের বিজ্ঞাপনগুলি প্রাসঙ্গিক অনুসন্ধানের জন্য প্রদর্শিত হবে তা নিশ্চিত করে লক্ষ্য করার জন্য নির্দিষ্ট কীওয়ার্ড বেছে নিতে পারেন।
- বাজেট নিয়ন্ত্রণ:
- নমনীয় বাজেট: বিজ্ঞাপনদাতারা দৈনিক বা মাসিক বাজেট সেট করতে পারেন এবং পারফরম্যান্স এবং ব্যবসার প্রয়োজনের ভিত্তিতে তাদের সামঞ্জস্য করতে পারেন।
- খরচ ব্যবস্থাপনা: PPC বিজ্ঞাপন ব্যয়ের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রদান করে, অতিরিক্ত খরচ এড়াতে সামঞ্জস্য করার অনুমতি দেয়।
- পরিমাপযোগ্য ROI:
- ট্র্যাকযোগ্য মেট্রিক্স: PPC প্ল্যাটফর্মগুলি পারফরম্যান্স পরিমাপ করার জন্য বিশদ বিশ্লেষণ এবং রিপোর্টিং টুল অফার করে, যেমন ইমপ্রেশন, ক্লিক, রূপান্তর এবং ROI।
- পারফরম্যান্সের অন্তর্দৃষ্টি: এই মেট্রিকগুলি আরও ভাল ফলাফলের জন্য প্রচারাভিযানগুলিকে পরিমার্জিত এবং অপ্টিমাইজ করতে সাহায্য করে৷
- ব্র্যান্ড এক্সপোজার:
- বর্ধিত দৃশ্যমানতা: ব্যবহারকারীরা বিজ্ঞাপনগুলিতে ক্লিক না করলেও, PPC ব্র্যান্ডের দৃশ্যমানতা এবং সচেতনতা বজায় রাখতে সাহায্য করে কারণ বিজ্ঞাপনগুলি অনুসন্ধান ফলাফল এবং অংশীদার সাইটগুলিতে প্রদর্শিত হয়৷
পিপিসি বিজ্ঞাপনের অসুবিধা
খরচ:
- উচ্চ ব্যয়: প্রতিযোগিতামূলক কীওয়ার্ডগুলি ব্যয়বহুল হতে পারে, যার ফলে উচ্চ খরচ হতে পারে, বিশেষ করে সীমিত বাজেটের ছোট ব্যবসার জন্য।
- চলমান বিনিয়োগ: জৈব এসইওর বিপরীতে, যার দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব থাকতে পারে, PPC-এর দৃশ্যমানতা এবং ট্র্যাফিক বজায় রাখার জন্য ক্রমাগত বিনিয়োগের প্রয়োজন।
- জটিলতা:
- শেখার বক্ররেখা: কার্যকরী পিপিসি ব্যবস্থাপনার জন্য প্ল্যাটফর্ম, কীওয়ার্ড গবেষণা এবং অপ্টিমাইজেশন কৌশলগুলির একটি ভাল বোঝার প্রয়োজন।
- সময়-সাপেক্ষ: নিয়মিত পর্যবেক্ষণ, পরীক্ষা, এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ প্রচারাভিযান সময়সাপেক্ষ হতে পারে এবং এর জন্য উৎসর্গীকৃত সংস্থান বা বিশেষজ্ঞ নিয়োগের প্রয়োজন হতে পারে।
- ক্লিক জালিয়াতি:
- প্রতারণামূলক ক্লিক: প্রতিযোগী বা দূষিত সত্তা বিজ্ঞাপনের বাজেট নষ্ট করতে ইচ্ছাকৃতভাবে বিজ্ঞাপনগুলিতে ক্লিক করতে পারে, যার ফলে প্রকৃত ব্যবসায়িক সুবিধা ছাড়াই ব্যয় নষ্ট হয়।
- বিজ্ঞাপন অন্ধত্ব:
- ব্যবহারকারী পরিহার: কিছু ব্যবহারকারী ইচ্ছাকৃতভাবে অর্থপ্রদত্ত বিজ্ঞাপন উপেক্ষা করে, শুধুমাত্র জৈব অনুসন্ধান ফলাফলগুলিতে ফোকাস করে, যা PPC-এর কার্যকারিতা সীমিত করতে পারে।
- অস্থায়ী ফলাফল:
- স্বল্প-মেয়াদী লাভ: একবার PPC বাজেট শেষ হয়ে গেলে, বিজ্ঞাপনগুলি চলা বন্ধ হয়ে যায়, যার ফলে দৃশ্যমানতা এবং ট্র্যাফিক অবিলম্বে হ্রাস পায়। এটি এসইওর সাথে বৈপরীত্য, যা দীর্ঘস্থায়ী সুবিধা প্রদান করতে পারে।
কন্টেন্ট মার্কেটিং(Content Marketing)
কন্টেন্ট মার্কেটিং কে বলা হয় কৌশল মার্কেটিং। শুধুমাত্র কন্টেন্টের অডিয়েন্স কে নির্দিষ্ট কিছু প্রোডাক্ট সম্পর্কে আকৃষ্ট করা উদ্দেশ্যে, মাঝে মূল্যবান, বস্তুনিষ্ঠ এবং ধারাবাহিক উন্নত মানের তথ্য কন্টেন্টের সংযুক্ত করা হয়। এডভার্টাইজমেন্ট কে লাভজনক কাস্টমারে রুপান্তর করাই হচ্ছে কন্টেন্ট মার্কেটিং।
আমরা অনেকেই ব্লগ পোস্টকে মনে করে থাকি কন্টেন্ট মার্কেটিং , কিন্তু ব্যাপারটি মোটেও এমন নয়। অনেক ধরনের প্রোডাক্টের কথা আমাদের সামনে তুলে আনেন গল্প বলার মাধ্যমে। কন্টেন্ট মার্কেটিং মুলত করে থাকে গল্প বলার মাধ্যমে। ১৮৮৫ সালে (The Furrow) নামের একটি ম্যাগাজিন এর থেকে কন্টেন্ট মার্কেটিং প্রথম শুরু হয়েছে।
কন্টেন্ট মার্কেটিং কি তা জানার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ন হচ্ছে, কন্টেন্ট মার্কেটিং কেন আপনার বিজনেসের জন্য গুরুত্বপূর্ন সেটি বুঝতে পারা। কিভাবে কন্টেন্ট মার্কেটিং এর মাধ্যমে পাঠককে বায়ারে রুপান্তর করে সেটি বুঝতে পারা। পাঠককে কাস্টমারে রুপান্তর করতে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ন ধাপ পার হতে হয়।
সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং(Search engine marketing)
সার্চ মার্কেটিং কে বলা হয় সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং। সার্চ মার্কেটিং পেইড এবং আন-পেইড উভয় মাধ্যমে ট্র্যাফিক জেনারেট করা যায় । আমরা যখন গুগলে সার্চ করি তখন দুই ধরনের রেজাল্ট আসে। যেগুলো আনপেইড সেটি এসইও এর আওতায় পড়ে, এবং যেগুলো পেইড সেগুলো ছোট্ট করে (ad) লেখাটা লেখা থাকে।
1990 এর দশকের মাঝামাঝি থেকে শেষের দিকে ওয়েবে সাইটের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায়, সার্চ ইঞ্জিনগুলি লোকেদের দ্রুত তথ্য খুঁজে পেতে সাহায্য করার জন্য উপস্থিত হতে শুরু করে। সার্চ ইঞ্জিনগুলি তাদের পরিষেবাগুলির অর্থায়নের জন্য ব্যবসায়িক মডেলগুলি তৈরি করেছে, যেমন 1996 সালে ওপেন টেক্সট এবং তারপর 1998 সালে Goto.com দ্বারা অফার করা প্রতি ক্লিক প্রোগ্রামের মতো। Yahoo 2003 সালে, এবং এখন বিজ্ঞাপন দাতাদের জন্য Yahoo! সার্চ মার্কেটিং।
গুগল 2000 সালে গুগল অ্যাডওয়ার্ড প্রোগ্রামের মাধ্যমে অনুসন্ধান ফলাফল পৃষ্ঠাগুলিতে বিজ্ঞাপন দিতে শুরু করে। 2007 সাল নাগাদ, সার্চ ইঞ্জিনের জন্য পে-প্রতি-ক্লিক প্রোগ্রামগুলি প্রাথমিক অর্থপ্রমাণকারী হিসাবে প্রমাণিত হয়। একটি বাজারে Google দ্বারা আধিপত্য, 2009 সালে Yahoo! এবং মাইক্রোসফ্ট একটি জোট গঠনের অভিপ্রায় ঘোষণা করেছে। ইয়াহু! এবং মাইক্রোসফ্ট সার্চ অ্যালায়েন্স অবশেষে ফেব্রুয়ারী 2010 সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের নিয়ন্ত্রকদের কাছ থেকে অনুমোদন লাভ করে।
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন(Search engine optimization)
সবচেয়ে জনপ্রিয় মার্কেটিং হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বর্তমানে অনেক বেশি ট্রাফিক জেনারেট করতে পারে সার্চ ইঞ্জিন। এবং। এসইও করলে ওয়েবসাইটকে ভালো ভাবে সাজানোর মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিন গুলোকে জানিয়ে দিতে পারি যে, এই কন্টেন্টে কি রয়েছে এবং যারা সার্চ করছেন তাদের কি-ওয়ার্ড এর সাথে ম্যাচ করে সাইট কে অপটিমাইজ করাই হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন।
সার্চ ইঞ্জিন মূলত তৈরি হয়েছে মানুষের কাছে তথ্য পৌঁছে দেয়ার জন্য। এই সার্চ ইঞ্জিন গুলো কিছু অ্যালগরিদম তৈরি করে রাখে যার মাধ্যমে আমরা যখন কোন কিছু লিখে সার্চ দেই তখন সবচেয়ে কাছাকাছি এবং তথ্যবহুল ফলাফলটি আমাদের কাছে সবার আগে দেখায়। অনেক গুলো সাইটের মধ্যে তুলনা করে, সার্চ ইঞ্জিন যে সাইটিকে ভালো মনে করে সে সাইটটিকে সবার সামনে নিয়ে আসে। তাই সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন এর পাশাপাশি আপনার কনটেন্ট বা ব্লগ ও মানসম্মন হতে হবে। আর তাহলেই কেবল আপনার ওয়েবসাইটটি সার্চ ইঞ্জিনের রেজাল্টের প্রথম দিকে দেখাবে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং(Affiliate Marketing)
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলতে বুঝি অন্যকে রেফার করার মাধ্যমে যে মার্কেটিং পদ্ধতি অনুসরণ করে । এফিলিয়েট মার্কেটিং করলে এখানে তাদের নিজেদের কোন প্রোডাক্ট থাকে না। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর ট্রাফিক জেনারেট করে দেয়ার এই মার্কেটিং ব্যাকলিংক এর মাধ্যমে আসে। এফিলিয়েট মার্কেটিং ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত এবং কার্যকরী গুলোর মধ্যে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।
ইন্টারনেটে অধিভুক্ত বিপণনের ধারণাটি কল্পনা করা হয়েছিল, অনুশীলনে রাখা হয়েছিল এবং পিসি ফ্লাওয়ারস অ্যান্ড গিফটসের প্রতিষ্ঠাতা উইলিয়াম জে টবিন দ্বারা পেটেন্ট করা হয়েছিল। 1989 সালে প্রডিজি নেটওয়ার্কে চালু হওয়া, PC Flowers & Gifts 1996 সাল পর্যন্ত পরিষেবায় রয়ে গেছে। 1993 সাল নাগাদ, PC Flowers & Gifts প্রডিজি পরিষেবায় প্রতি বছর $6 মিলিয়নেরও বেশি বিক্রি করেছে। 1998 সালে, PC Flowers and Gifts প্রডিজি নেটওয়ার্কে বিক্রয়ের উপর কমিশন প্রদানের ব্যবসায়িক মডেল তৈরি করে।
ই-মেইল মার্কেটিং(E-mail marketing)
ই-মেইলের মাধ্যমে মার্কেটিং করার পদ্ধতিই হচ্ছে ই-মেইল মার্কেটিং। আমরা যারা বিভিন্ন ওয়েবসাইটে একাউন্ট খুলি তখন তারা আমাদের ই-মেইল কালেক্ট করে রাখে। পরবর্তীতে তারা আমাদেরকে সেই সকল ইমেইলের মধ্য দিয়ে আমাদের কাছে সহজে এডভার্টাজিং করতে পারে। অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশে ই-মেইল চেক করার রুচি অনেক কম, এখান কার কনসেপ্ট দিয়ে আপনি আপনি ই-মেইল মার্কেটিং এর দুনিয়া সম্পর্কে ধারনা করতে পারবেন না।
21 শতকের প্রযুক্তিগত বৃদ্ধির পাশাপাশি ইমেল মার্কেটিং দ্রুত বিকশিত হয়েছে। এই বৃদ্ধির আগে, যখন বেশিরভাগ গ্রাহকদের কাছে ইমেলগুলি নতুনত্ব ছিল, তখন ইমেল বিপণন ততটা কার্যকর ছিল না। 1978 সালে, ডিজিটাল ইকুইপমেন্ট কর্পোরেশনের (ডিইসি) গ্যারি থুয়ার্ক অ্যাডভান্সড রিসার্চ প্রজেক্টস এজেন্সি নেটওয়ার্ক (আরপানেট) এর মাধ্যমে প্রায় 400 জন সম্ভাব্য ক্লায়েন্টকে প্রথম গণ ইমেল পাঠিয়েছিলেন । তিনি দাবি করেন যে এর ফলে $13 মিলিয়ন মূল্যের ডিইসি পণ্য বিক্রি হয়েছে, এবং ব্যাপক ইমেলের মাধ্যমে বিপণনের সম্ভাবনা তুলে ধরেছে।
ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং (Influencer Marketing)
ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং হলো এমন একটি মার্কেটিং কৌশল যেখানে জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব দারা ব্র্যান্ড গুলো তাদের পণ্য বা সেবা প্রচারের জন্য মার্কেটিং করে থাকে। তাদের সামাজিক মিডিয়া ফলোয়ারদের মাধ্যমে ব্র্যান্ডের বার্তা বেশি করে মানুষের কাছে পৌছে দেয়। তাছাড়া এই মার্কেটিং কৌশলটি বিশ্বাসযোগ্যতা গড়ে তুলার ক্ষেত্রে সহায়ক ভাবে কাজ করে।
ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং অনেক মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে করা যায়, যেমন ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব, টিকটক ইত্যাদি। ব্র্যান্ড গুলো ইনফ্লুয়েন্সারদের মাধ্যমে তাদের লক্ষ্য শ্রোতাদের কাছে পৌঁছাতে পারে এবং পণ্য বা সেবা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে পারে, ব্র্যান্ডের কনটেন্ট তৈরির সুযোগ প্রদান করে, যা সাধারণ বিজ্ঞাপনের চেয়ে বেশি আকর্ষণীয় হয়।
ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিংয়ের ফলাফল ট্র্যাক করা সহজ হয়, যা ROI (রিটার্ন অন ইনভেস্টমেন্ট) মূল্যায়নে সহায়ক। এটি কম খরচে প্রমোশন এবং নতুন গ্রাহকদের আকর্ষণ করতে পারে। ইনফ্লুয়েন্সারদের সাথে দীর্ঘমেয়াদী অংশীদারিত্ব ব্র্যান্ডের স্থায়ী সম্পর্ক গড়ে তুলতে সাহায্য করে।
ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ার(Digital Marketing Careers)
ডিজিটাল মার্কেটিং এখন সময়ে এসে খুব দুরুত মার্কেটিং এর জায়গা দখল করে নিয়েছে। তথ্য-প্রযুক্তির দ্রুত উন্নয়নের ফলে বিশ্বজুরের বিভিন্ন ই-কমার্স এবং এফ-কমার্স পযেমন ত্বরান্ধিত বিকাশ হচ্ছে প্রতিষ্ঠান গুলোর, সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়েই বাড়ছে ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে বাজার জাতকরণ। গত ৫ বছরে ডিজিটাল বিপণনের ফলে চাকরির সুযোগ বেড়েছে ৮০০ শতাংশ।
এই খাতের প্রয়োজনীয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে, যেমন কাজের ধরন সহজ তেমনি চ্যালেঞ্জিং। বিশ্বের অনেক নামি দামি বিশ্ব বিদ্যালয় গুলোতে ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপর ডিগ্রি দেওয়া হচ্ছে। দেখা যাচ্ছে বর্তমান বা অদুর ভবিষ্যতে এর ব্যাপক চাহিদা সৃষ্টি হবে।
ডিজিটাল মার্কেটিং কে তরুনদের ক্যারিয়ার হিসেবে নিতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন। এই সেক্টরটি শিখতে তুলনামুলুক শিখতে সহজ এবং চাহিদা সম্পন্ন। অনেক গুলো দিক থাকার কারণে যে কেউ সহজে শিখতে পারে। তাছাড়া ডিজিটাল মার্কেটিং শিখা সম্পন্ন হলে, সে নিজের জন্য অতি শীগ্রই কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান শুরু করতে পারে।
যে যাই করুক তাদের বর্তমান সময়ে সকলের অলনাইনে ব্যবসার প্রচারনা করতে হয়। যে পরিমানে দিন দিন অলনাইনে প্রচারণার পরিমান বৃদ্ধি হচ্ছে, আগামিতে আরোও বেশি বৃদ্ধি পাবে। সকল প্রতিষ্ঠান অলনাইনে নিজেদের পরিচিতি বা একটিভিটি বাড়াতে আগ্রহী হচ্ছে। ফলে সকল প্রতিষ্ঠান গুলোর নিজিস্ব একটি করে মার্কেটার বা মার্কেটিং এজেন্সি প্রয়োজন হবে।
সোস্যাল প্ল্যাটফর্ম গুলি এমন ভাবে দিন দিন ডিজাইন করে যাচ্ছে, যদি আপনি টাকা না খরচা করেন বা ডিজিটাল মার্কেটিং না করেন তাহলে আপনার পোস্ট খুব কম সংখ্যক লোকের কাছে পৌছাবে। যারা ফেসবুক পেইজ খুলেছেন বিষয় টা তারা জানেন। বা যারা ফেসবুক আইডি ব্যাবহার করেন তারাও দেখবেন ফেসবুক ফ্রেন্ড এর তুলনায় ২০-৩৫% মানুষের কাছে আপনার পোস্ট শো করে।
সেটা একটি পেইজের ক্ষেত্রে আরো অনেক কম। ১৫% সর্বোচ্চ শো করে কিনা তাও বলা যাবে না। সোসাল মিডিয়া ফ্ল্যাটফর্ম গুলো এক্ষেত্রে চাচ্ছে আপনাকে মার্কেটিং এর পেছনে টাকা ঢালতে। তা না হলে আপনার পোস্ট তারা কাওকে দেখাচ্ছে না। ওদে কাছেই রেখে দিতেছে।
মার্কেটিং ভালোভাবে শিখতে পারলে কাজের ক্ষেত্র নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। ছোট বা মাঝারি দোকানের মার্কেটিং থেকে শুরু করে অ্যাপল মার্কেটার হওয়ার মত বড় বড় সুযোগ রয়েছে। তার সাথে ফ্রিল্যান্সিং এর বিষয় টা তো রয়েছে। বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট প্লেস গুলোতে কাজ করে ইনকাম করা যায়।
ডিজিটাল মার্কেটিং করে আয়(Earn through digital marketing)
ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিশাল সম্ভাবনার দ্বার। ফ্রিল্যান্সিং করতে চাইলে করতে পারেন। নিজে মার্কেট প্লেস গুলোতে কাজ করতে পারেন যেমন: upwork, fiverr, freelancer.com আবার কোন সংস্থার হয়ে কাজ করতে পারেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং এ ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে করবেন(How to Freelancing in Digital Marketing)
ডিজিটাল মার্কেটিং হলো এমন এমন একটি সেক্টর যা বিশ্বেকে নিজের দখলে নিয়েছে। মার্কেটিং শিখে নিজের ব্যবসার পাশাপাশি বর্তমানে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস Upwork, Fiverr, freelancer.com কাজ করতে পারেন। ঘাটাঘাটি করলে আপনি দেখতে পাবেন ডিজিটাল মার্কেটিং এর অনেক ধরনের কাজ রয়েছে
ডিজিটাল মার্কেটিং কাজের সার্ভিস দিয়ে ইনকাম করা যায় এই রকম অনেক ফ্রিল্যান্সি মার্কেটপ্লেস রয়েছে। আপনার সর্বপ্রথম কাজ হবে সুন্দর ভাবে কাজ শিখে, অনেক গুলো মার্কেট প্লেস এ অ্যাকাউর্ট না খুলে আপনার পছন্ত মতো একটি থেকে দুইটি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে যেমন: Upwork, Fiverr, সঠিক তথ্য দিয়ে সুন্দর মতো আপনার প্রোফাইলকে কোয়াীলটি সম্পূৎর্ণ করতে হবে। তা যেন ক্লায়েন্টকে আকৃষ্ট করতে পারে। আপনার প্রোফাইল এবং অভিজ্ঞতা দেখে ক্লায়েন্ট আপনাকে কাজের অর্ডার দিবে।
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে প্রতিনিয়ত কাজ খুজুন(Find work on the freelancing marketplace)
আপনার প্রোফাইল ভালো ভাবে তৈরি হয়ে গেলে, প্রতিনিয়ত কাজ খুজতে হবে। আপনি ভালোভাবে যে কাজ করতে পারেন বুঝে শুনে সে কাজের জন্য আবেদন করতে হবে। আপনি যে কাজ যানেন না সে কাজের জন্য আবেদন করে থাকলে, ক্লায়েন্টকে সঠিক কাজ সঠিক সময়ে কাজ ডেলিভারি না দিলে, আপনার প্রোফাইলে নেগেটিভ রিভিউ পরবে।
ক্লাযেন্টের চাওয়া অনুযায়ী কাজের প্রপোজাল(Work proposal as per client’s requirement)
ক্লায়েন্ট কাজ কিভাবে চায় সেটা আগে ভালোভাবে বুঝতে হবে। কাজের প্রপোজাল এর সময় ক্লায়েন্টের চাওয়ার দিকে সবার আগে প্রাধ্যন্য দিতে হবে। আপনি কিভাবে ক্লায়েন্টের কাজে সমস্যার সমাধান করবেন, সেই ধরণের কাজের আবেদন করবেন। আবেদন করার সময় পরিষ্কার ভাবে তুলে ধরবেন। পূর্বের কোন অভিজ্ঞতা থাকলে, সেটা তুলে ধরবেন। এত করে ক্লায়েন্ট আপনার প্রতি ভরসা পাবে।
ক্লায়েন্টের কাজ পাওযার পর , সঠিক ভাবে কাজ সম্পূন্য হয়ে গেলে ক্লায়েন্টের কাছ থেকে পজেটিভ সুন্দর রিভিউ নিতে হবে। একটি কাজের পজেটিভ রিভিউ পেলে আরো অনেক ক্লায়েন্টের কাজ পেতে সাহায্য করে। আপনার পোর্টফোলিও যত সুন্দর হবে তত বেশি আপনাকে কাজ দিতে বিশ্বাস পাবে।
ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স(Digital Marketing Course)
ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে যদি আপনার সঠিক ধারনা না থাকলে ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স করতে পারেন। বিভিন্ন অনলাইন ও অফলাইন প্রতিষ্ঠান বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর ওপর কোর্স এর আয়োজন করে থাকে। আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স এর মাধ্যমে একজন দক্ষ ডিজিটাল মার্কেটার হতে পারবেন৷ অন্য কোম্পানির ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে কাজ করতে পারবেন। নিজের ব্যবসায়ের প্রসার বৃদ্ধি করতে পারবেন৷ সেইসাথে ডিজিটাল মার্কেটিং ফ্রিলান্সার হিসেবে একটি উজ্জ্বল ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারবেন।
আমরা আশা করি যে আপনার সামনে ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে তুলে ধরতে পেরেছি। এর মতো তথ্য যুক্ত পোস্ট দেখতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন Cyberclub24.com